শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ পূর্ব শত্রুতা ও সালিশ মিমাংসার জের ধরে অভিনব পথ বেচে নিয়েছেন রায়পাশা- কড়াপুরের ক্ষতাশীন দলের এক ব্যাক্তি। বিরোধী দলের সাবেক ওয়ার্ড সাধারন সম্পাদকের সাথে সক্ষ্যতা করে এমনটা করেছেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এমনকি থানা পর্যন্ত গড়িয়েছেন ওই ব্যাক্তি। যদিও থানা পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিয়েছেন বটে। বরিশাল সদর উপজেলার ১ নং রায়পাশা- কড়াপুর ইউনিয়নের বিলামের পোল স্থানে দুর- দুরান্ত থেকে আসা বিরোধী দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আলম মাষ্টারের পুত্র হৃদয় লাকি ষ্টোরের দোড়গোরায় আহত হওয়ার সংবাদ নিক্ষেপ করেন স্থানীয় বেশ কিছু যুবকদের মাঝে।
তার বার্তায় শোনা যায় ক্ষমতাশীন দলের কুদ্দুসকে কে বা কাহারা মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখেছে। এমন সংবাদ পেয়ে স্থানীয় বেশ কিছু যুবক তাকে উদ্ধার করেন বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নবগ্রাম রোড খলিফা বাড়ির সম্মুখে। ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছেন এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ । জানা গেছে, রায়পাশা-কড়াপুর ৬নং ওয়ার্ড আ.লীগের সদস্য কুদ্দুসকে ( ৫০) শুক্রবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে নয়টার সময় নিজ বাড়ির সামনে তার উপর হামলা চালায়।
এসময় কুদ্দুস ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয়রা শুনে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত কুদ্দুসের অভিযোগ তাকে মারধর করেন স্থনীয় ব্যাক্তি নাছির। অপর একটি সুত্র বলছে, মারধর সময় নাছির বিলামের পোল থেকে নাছিরসহ আরেক যুবক ফকিরের হাট আজিজের দোকানে চা পান করতে ছিলেন।
যার সত্যতা মিলেছে একাধীক দোকান মালিকদের সাথে । সুত্র বলছে, নাছিরের সাথে বিরোধী ( বিএনপি)দলের ওয়ার্ডের সাবেক দুই সাধারন সম্পাদক এর দীর্ঘদিনের জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় নাছিরকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জমি মাপার জন্য খলিফা বাড়িতে উভয় পক্ষের একটি সালিশগনদের বলা হয়।
সেই সালিশ গনদের মাঝে বিরোধী দলের সাবেক দুই ওয়ার্ড সাধারন সম্পাদক রয়েছেন। তারা হলেন,ছালাম ও আলম মাষ্টার। বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খোকন বলেন, ঘটনা শুনেছি,ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে। পাশাপাশি তদন্ত অনুযায়ী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। হামলার বিষয়টি নিয়ে আহত কুদ্দুসের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ করলে,তিনি ভিন্ন ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, আমাকে মারধর করা হয়েছে তা সংবাদ প্রকাশের জন্য নয়।
তা ছাড়া চেয়ারম্যান তো দেখবেন বিষয়টি। দরকার হলে আপনাদের ফোন দিবো। এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) এস এম জাহিদ বিন আলম বলেন, ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ব্যাক্তি আক্রোশ নিয়ে কেউ পুলিশকে ব্যবহার করলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে থানা পুলিশ। এদিকে বিষয়টি নিয়ে সমাধান বসে ইউনিয়ন পরিষদ ।
পরে ইউনিয়ন পরিষদে সবার উপস্তিতে আহত কুদ্দুস বলেন, আমার উপর হামলা করা হয়েছে তবে রাতের অন্ধকারে করা হামলা করেছে তা দেখতে পারি নাই।
কুদ্দুস খলিফা ১ নং রায়পাশা- কড়াপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত কেরামত আলী খলিফার পুত্র। কুদ্দুস পেশায় একজন চালের ডিলারশিপ। ধারনা করা হচ্ছে চাল পরিমানে কম দেয়ার কারনে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
Leave a Reply